শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় দিতে বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরায় পাঁটটি, চট্টগ্রামে তিনটি ও সেন্টমার্টিনে দু’টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনায় বানৌজা কর্ণফুলী, তিস্তা, পদ্মা, এলসিভিপি ০১২ ও এলসিভিপি ০১৩ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি চারটি নৌ কন্টিনজেন্ট যেকোন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে তিনটি জাহাজ বানৌজা শাহজালাল, শাহ পরান ও অতন্দ্র দ্রুততম সময়ে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গমনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে বানৌজা সমুদ্র জয় ও সমুদ্র অভিযান জরুরি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন। এছাড়া নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
খুলনা নৌ অঞ্চল থেকে মোতায়েনকৃত জাহাজগুলো বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহে ২০০০ প্যাকেট জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবে। যার প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে সাড়ে সাত কেজি চাল, দেড় কেজি ডাল, দেড় লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিড়া, এক কেজি মুড়ি, আধা কেজি গুড়, আধা কেজি বিস্কুট, দুই লিটার বিশুদ্ধ পানি, দুই ডজন মোমবাতি, দুই ডজন দিয়াশলাই বক্স এবং জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ওষুধ। এছাড়া দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য পাঁচটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণের কাজে নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি চাটি নৌ কন্টিনজেন্ট যে কোন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
ইতিমধ্যে সেন্টমার্টিনে নৌবাহিনীর দু’টি যুদ্ধজাহাজ সমুদ্র জয় ও সমুদ্র অভিযান দুই টন চিড়া, এক টন মুড়ি, দুই টন চাল, দেড় টন গুড়, ৫০০ কেজি ডাল, ৭০০ কেজি চিনি, ৫০০ প্যাকেট মোমবাতি, ২৫০ ডজন দিয়াশলাই নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি সেন্টমার্টিনে এর ফরওয়ার্ড বেইসের নৌ সদস্যরা জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্য পরিচালনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও ঢাকায় উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধজাহাজ ও নৌ কন্টিনজেন্ট অনুরূপ ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় নৌবাহিনী তিনস্তরের ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
আরআইএস/