ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে আতঙ্কিত সাউথখালী বাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে আতঙ্কিত সাউথখালী বাসী

বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সর্বশেষ ইউনিয়ন সাউথখালী। বলেশ্বর নদীর কাছের এ জনপদের মানুষ ভৌগলিক কারণে জন্মের পর থেকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে বেঁচে থাকে। তারপরও ঝড় জলচ্ছ্বাসে স্বজন ও অর্থ সম্পদ হারানোর ভয়ে সব সময় আতঙ্কিত থাকতে হয় তাদের।

এ জনপদের মানুষ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ২০০৭ সালের ঝড় সিডরে। তারপর থেকে এ এলাকার মানুষের দাবির কেন্দ্র বিন্দু ছিল বলেশ্বর নদীর কোল ঘেষা বগী থেকে মোরেলগঞ্জের সন্ন্যাসী পর্যন্ত একটি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।

জনগণের দাবি অনুযায়ী একটু দেরিতে হলেও ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারিতে বেড়িবাঁধ ও স্লুইচগেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে বাঁধের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও আতঙ্ক কাটেনি সাউথখালী বাসীর। কারণ নদী শাসন না করার জন্য সাউথখালী ইউনিয়নের বগী, গাবতলা ও দক্ষিণ সাউথখালী এলাকা থেকে বারবার ভেঙে যাচ্ছে বেড়িবাঁধ। প্লাবিত হচ্ছে লোকালয়।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র খবরে এ এলাকার মানুষের আতঙ্ক বেড়েছে কয়েকগুন। বুলবুল আঘাত হানলে, বেড়িবাঁধ ভেঙে বা উপচে পানি চলে আসবে লোকালয়ে। এ অবস্থায় ঘরে থাকলে পানিতে ডুবে মরতে হবে, আর আশ্রয় কেন্দ্রে গেল গবাদি পশু ও মূল্যবান সম্পদ হারাবেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে কেউ কেউ সম্পদের মায়া ত্যাগ করে যেতে শুরু করেছে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে। তবে সে সংখ্যা খুবই কম। পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্রেরও সংকট রয়েছে এই ইউনিয়নে।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে সাউথখালী ইউনিয়নের বগী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজজামান খানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

বগী গ্রামের রাজ্জাক তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, সিডরে মরেছে আত্মীয় স্বজন। বুলবুলের কথা শুনেই আতঙ্কে আছি। সন্তানদের আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছি। আশ্রয় কেন্দ্রে এতো লোক থাকবে কিভাবে।

স্থানীয় নূর ইসলাম, আব্দুর রবসহ কয়েকজন বলেন, বেড়িবাঁধটির এমন অবস্থা যে একটু পানি বেশি হলেই কোনো না কোনো জায়গা থেকে ভেঙে যায়। বুলবুলের কারণে বেড়িবাঁধ ভাঙলে আমাদের খুব খারাপ অবস্থা হবে। গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিতো ভেসে যাবেই। মানুষেরও প্রাণহানি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজজামান খান বাংলানিউজকে বলে, স্থানীয়রা বাঁধের যে জায়গাটিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে, আমরা সে এলাকা পরিদর্শন করেছি। ৫ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত পানি হলেও কোন সমস্যা হবে না। পানির পরিমাণ এর থেকে বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বাঁধের কোথাও যদি কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়, তাহলে এক ঘণ্টার মধ্যেই সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।