ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মধ্যযুগীয় কায়দায় যুবককে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে কমিটি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
মধ্যযুগীয় কায়দায় যুবককে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে কমিটি 

নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়া থানা হেফাজতে শিহাব মল্লিক (২৮) নামে যুবককে চোখ বেঁধে ও পেছনে হাতকড়া পরিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ ইমরানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কোর্ট ইন্সপেক্টর ও নড়াইল জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) ইন্সপেক্টর।

বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করে নড়াইল পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

গত ৩ নভেম্বর রাতে ও ৪ নভেম্বর সকালে নড়াইলের লোহাগড়া থানা হেফাজতে শিহাবকে চোখ বেঁধে ও পেছনে হাতকড়া পরিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুস সালাম সিদ্দিকের বিরুদ্ধে।

শিহাব লোহাগড়া পৌর এলাকার গোপীনাথপুর গ্রামের এনামুল মল্লিকের ছেলে।

লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শিহাব মল্লিক বাংলানিউজকে জানান, ২ নভেম্বর সকালে পারিবারিক বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাই মনিরুল এবং খাইরুল মল্লিক তার বাবা এনামুল মল্লিকের ওপর চড়াও হন। বিষয়টি নিয়ে মনিরুলের বড় ভাই বদরুল মল্লিকের সঙ্গে শিহাব মল্লিকের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায় বদরুলকে মারপিট করেন শিহাব। এ ঘটনায় বদরুলের ছোট ভাই মনিরুল মল্লিক বাদী হয়ে শিহাব ও তার মা বিউটি বেগমকে আসামি করে সেদিন দুপুরে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন।  

মামলার তদন্তভার পড়ে এসআই নুরুস সালাম সিদ্দিকের ওপর। পরদিন ৩ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে শিহাবকে গ্রেফতার করে থানায় নেওয়া হয়। খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন ছুটে যায় সেখানে। তবে তাদের দেখা করতে দেননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, এমনকি শিহাবকে রাতের খাবারও দিতে দেওয়া হয়নি।

শিহাবের অভিযোগ, ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় ও ৪ নভেম্বর সকালে এসআই সিদ্দিক তাকে পেছনে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে নির্দয়ভাবে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের কারণে তিনি কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে শিহাবকে কিছুটা সুস্থ করে সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।  

আদালত চত্বরে তার পরিবারের কাছে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন শিহাব।  

৭ নভেম্বর শিহাব জামিনে মুক্ত হলে সেদিন সন্ধ্যার দিকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়। এখন তিনি ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।

** লোহাগড়ায় থানা হেফাজতে যুবককে চোখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এসআরএস/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।