জানা যায়, জাঙ্গালিয়া গ্রামে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামটি পায়রা নদীর তীর সংলগ্ন হওয়ায় এর আগেও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব মো. সোবাহান মোল্লা, হাকিম মাস্টার, কাশেম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সিডর-আইলা-মহাসেন, নার্গিস এসে আমাদের বাপ-দাদার জমি নদীগর্ভে বিলীন করে দিয়েছে। এখন যতুটুক জমি আছে, তাও বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীতে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নামের বেড়িবাঁধ দিলেও একটি শক্ত বেড়িবাঁধ দিতে পারেনি। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, আমাদের জীবন ও জানমাল বাঁচাতে এখানে একটি শক্ত বেড়িবাঁধ দিন।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সেন বাংলানিউজকে জানান, জাঙ্গালিয়া গ্রামের পায়রা নদীর পাড়ের তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, বেড়িবাঁধের বিষয়ে জোরালোভাবে কাজ করা হবে। ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সাধারণ মানুষকে সহায়তা করতে বরগুনায় ৫০৯টি সাইক্লোন শেল্টার, ৪২টি মেডিক্যাল টিম, ৮টি জরুরি কন্ট্রোল রুমসহ সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরকেন্দ্রিক মাছ ধরা ট্রলার তীরে ফিরতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সহস্রাধিক ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরেছে। বেড়িবাঁধের বাইরের লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বরগুনা জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
আরএ