শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসাত সাদনীন বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জনান, দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, নামার বাজার, ডালচর গ্রামের ১৫ হাজার ও সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রাম, জনতার ঘাট,তটতার ঘাট, সোলায়ম্যান বাজার, শান্তির ঘাট এলাকার ৬ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা যায়, প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, চাল, নগদ অর্থ ও টিনসহ ৩৬৬টি আশ্রয়ন কেন্দ্র ও ৬৫০০ স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কন্ট্রোল (০১৭০৫৪০১০০১) রুম খোলা হয়েছে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে নোয়াখালী জেলাকে (৯ নম্বর) মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অপরদিকে, একই সঙ্গে নদীতে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার অনুরোধ করা হয়। সকল ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া সার্বক্ষণিক উপকূলীয় এলাকার প্রতিটি থানার পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
ওএইচ/