রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনার গোবিন্দপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে শিশু রবজার (৭) পরিচয় পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন- নিহত শিশু রবজার মা হালিমা বেগম (৪৫), কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার আবুল কাশেম (৫০), জসিম উদ্দিন (৪৮), সজিব (২০), সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনপুর এলাকার দুলাল মিয়া (৪৫) ও বলরামপুর এলাকার মজনু মিয়া (৫০)। তাদের সবার ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পুড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী মহিউদ্দিন জানান, যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি গোবিন্দপুর স্টেশন এলাকায় যাত্রী উঠানোর জন্য থামে। এ সময় পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে অপর একটি ট্রাক মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি মহাসড়কের ওপরে উল্টে যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। গাড়ি থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
অপর প্রত্যক্ষদর্শী বশির ভূঁইয়া জানান, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুরাতন মাইক্রোবাস ও মারুতি করে লোকাল যাত্রী যাতায়াত করে। ওই মাইক্রোবাসটি চান্দিনা বাসস্টেশন থেকে ময়নামতি রুটে চলাচল করতো। যাত্রীদের অধিকাংশই চান্দিনার একটি মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বলে আমরা জানতে পারি।
চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সফিক উদ্দিন মুন্সি বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো ও শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে আরও দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হালিমা, আবুল কাশেম ও জসিম উদ্দিনকে আনার পর তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আহত হালিমার ৫০ শতাংশ, আবুল কাশেম এর ৩৫ শতাংশ এবং জসিম উদ্দিনের ২৫ শতাংশ পুড়ে যায়।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আহতাবস্থায় সজিব ও মজনুকে সরাসরি কুমেকে আনার পর তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন জানান, নিহতদের মধ্যে একজন কন্যাশিশু, একজন নারী ও একজন পুরুষ বলে ধারণা করা হচ্ছে । দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি উদ্ধার করে ডাম্পিংয়ে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এএটি