রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। শনিবার (৯ নভেম্বর) দিনগত রাতে দেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে ‘বুলবুল’।
আবহাওয়াবিদ ও পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বুলবুল আর ঘূর্ণিঝড় নেই। সেটি এখন গভীর স্থলনিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বুলবুল এখন বাগেরহাট, পটুয়াখালী এবং বরিশাল অঞ্চলে অবস্থান করছে। তবে এর পরের গতিপথে দুইটি ঘটনা ঘটতে পারে। আরও দুর্বল হয়ে সেটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে ত্রিপুরা-আসাম চলে যাবে। এতে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অথবা বাংলাদেশের ভেতরেই এটি নিঃশেষ হয়ে যাবে।
সতর্কতা সংকেত নিয়ে শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি দুর্বল হলেও এর প্রভাবে এখনো বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং বাতাসের গতি বেশ ভালো। এটির কেন্দ্রে এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রামের ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে নদীবন্দরগুলোতে ২ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হচ্ছে। এর ফলে নদী ও সাগরে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে আরও ২৪ ঘণ্টা নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হচ্ছে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে আরও দুই দিন নিম্ন থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। বলা হয়, মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে আনার কারণে এখন উড়োজাহাজ চলাচল করতে পারবে। তবে লঞ্চগুলোকে আরও ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ২ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত উঠে গেলে লঞ্চ চলাচল করা যেতে পারে বলেও মতামত দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে সাতক্ষীরায়, ১৪৪ মিলিমিটার। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮১ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএ/