সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খুলনার দাকোপ উপজেলার দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের বাসিন্দা প্রমীলার এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের সুভাষ মণ্ডলের স্ত্রী।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে জানান, রাতে প্রমীলা দক্ষিণ দাকোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারে ছিলেন। সকাল ৯টা-সাড়ে ৯টার দিকে নিজের বাড়িতে যান তিনি। সেসময় একটি গাছ তার উপরে পড়লে প্রাণ হারান প্রমীলা।
এদিকে, ঝড়ের আঘাতে খুলনা নগরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। ভারী বর্ষণের কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও ফসলি জমি। জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে বহু এলাকায়। তার আগে থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে খুলনা। এজন্য ঝড়কবলিত খুলনাবাসী পড়েছে আরও দুর্ভোগে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (৯ নভেম্বর) দিনগত রাতে উপকূলে আছড়ে পড়া বুলবুল রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে এগিয়ে চলেছে। এটি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার গতিতে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ভোর থেকেই খুলনাজুড়ে তাণ্ডব চালায় বুলবুল। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়া এ জেলায় সকাল ১০টা পর্যন্তও তীব্র বাতাস ও বর্ষণ চলছিল। ঝড়ের কারণে খুলনা নগরসহ জেলাজুড়ে দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
ভারী বর্ষণের কারণে নগরের শান্তিধাম মোড়, রয়্যাল মোড়, বাইতি পাড়া, তালতলা, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, পিটিআই মোড়, সাতরাস্তার মোড়, শামসুর রহমান রোড, আহসান আহমেদ রোড, দোলখোলা, নিরালা, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, ময়লাপোতা, শিববাড়ি মোড়, বড় বাজার, মির্জাপুর রোড, খানজাহান আলী রোড, খালিশপুর মেঘার মোড়, দৌলতপুর, নতুনবাজার, পশ্চিম রূপসা, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, বাবুখান রোড, লবণচরা বান্দা বাজারসহ প্রায় সব এলাকার রাস্তায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এসব এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানিও ঢুকে গেছে। নিম্নাঞ্চলের বস্তি ঘরগুলোতে দেখা গেছে হাঁটুপানি। অনেক এলাকার ভবনের নিচতলায়ও পানি ডুকে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এমআরএম/এইচএ/
** বিদ্যুৎহীন খুলনা, বিধ্বস্ত সহস্রাধিক ঘরবাড়ি