এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, সঙ্গে ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। একই অবস্থা বিরাজ করছে রোববারেও (১০ নভেম্বর)।
বৈরী আবহাওয়া এবং ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটির কারণে সকাল থেকেই ফাঁকা ছিল রাজধানী শহর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ-ই ঘর থেকে বের হয়নি।
এদিন সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় রাস্তাই মানুষশূন্য। কিছু যানবাহন চললেও সেগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল একেবারেই কম।
রামপুরার ওয়াপদা রোডের গৃহিণী ফাতেমা জামান বাংলানিউজকে বলেন, অতি প্রয়োজন ছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজনে আমাকে বের হতে হয়েছে। বেরিয়ে দেখি রাস্তায় তেমন মানুষজননেই। বেশিরভাগ দোকানপাটই বন্ধ ছিল। বৈরী আবহাওয়া ও সরকারি ছুটির কারণে কর্মব্যস্ত মানুষেল ঢল নামা এ শহর ছিল ফাঁকা।
আজিমপুরের বাসিন্দা সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জরুরি কাজে বাসা থেকে বের হয়ে রিকশায় করে হাজারীবাগে গিয়েছি। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। ওই দিনও এসব এলাকা জমজমাট থাকে। কিন্তু আজ বৈরী আবহাওয়ার কারণে সব নিস্তব্ধ। দোকানপাট তেমন খোলা দেখতে পাইনি। মানুষজনও ছিল কম।
খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী ফরহাদ রেজা বাংলানিউজকে বলেন, বুলবুল’র প্রভাবে রাজধানীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। পাশাপাশি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর শীতল আবহাওয়া। সরকারি ছুটির কারণে বাসার সব কাজ আগেই সেরে রেখেছি। তাই আজকে বাসাতেই অবস্থান করছি।
এদিকে বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা বাংলানিউজকে জানান, সকালের দিকে রাস্তাঘাট প্রায় মানুষশূন্য ছিল। দোকানপাটও ছিল বন্ধ। যাত্রী না পেয়ে চালকরা রাস্তার পাশেই পার্কিং করে রেখেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। বেলা ১২টার পর থেকে ধীরে ধীরে লোকজনকে বের হতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এজেডএস/এসএ