শনিবার (০৯ নভেম্বর) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানের কবর খুঁড়ে মরদেহটি তোলা হয়। মরদেহ উত্তোলনের একদিন পর রোববার (০৯ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নাইমুল আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মাসুদুর রহমান, মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার ফাহিমা খাতুন উর্মি ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম।
ময়নাতদন্ত শেষে মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মাসুদুর রহমান জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে আবরারের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হবে।
এরআগে, শনিবার (০৯ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
নোয়াখালীর নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলীম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
৬ নভেম্বর ঢাকায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হকের আদালতে আবরারের বাবা মজিবুর রহমান মামলা করেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (০১ নভেম্বর) ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবরারের মৃত্যুতে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে দৈনিকটির সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করেন, ওই স্কুলছাত্রের বাবা মুজিবুর রহমান। পরে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আবরারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে তার বাবার নালিশি মামলাটি এক সঙ্গে তদন্ত করতে বলেছেন আদালত। আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর হাকিম।
কলেজের দিবা শাখার ছাত্র আবরারের বাড়ি নোয়াখালী। সে সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের অধিবাসী সৌদি প্রবাসী মজিবুর রহমানের ছেলে। ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে থাকত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এনটি