তবে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিতে রামগতি-কমলনগর উপজেলার চরাঞ্চলের চলতি মৌসুমের আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মেঘনার পানি ২-৩ ফুট উচ্চতা বেড়ে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) রামগতি উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের তেলির চর, চেয়ারম্যান বাজার ও কামাল বাজারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানে। প্রায় ১০ মিনিটের ঝড়ে অর্ধ-শতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়।
জানতে চাইলে চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর বলেন, প্রায় ১০ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে ৪০টি কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়। দুই-তিনজন আহত হলেও বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণের কাজ চলছে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মোমিন বলেন, চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নেই আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হলেও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পৌরসভাসহ অন্যান্য ইউনিয়নের মানুষ সুরক্ষিত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এসআর/জেডএস