রোববার (১০ নভেম্বর) পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা জানান, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করতে আগে থেকেই পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো বিশেষ টিম প্রস্তুত রেখেছিল। বুলবুল বিভিন্ন এলাকা অতিক্রমের সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট পুলিশের টিম উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুলবুলের আঘাতে ঘূর্ণিঝড়ে পড়ে কিংবা ভেঙে যাওয়া গাছ অপসারণ, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামত, ঘূর্ণিঝড়কবলিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, সাধারণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে পুনরায় নিজবাড়িতে পৌঁছে দেওয়া, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা ও সড়ক মেরামতসহ বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন পুলিশ সদস্যরা।
পাশাপাশি দুর্যোগকালীন কোনো দুষ্কৃতকারী যেন অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে- সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। মানুষের জীবন ও সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানবে, এমন সংবাদের পরপরই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব ধরনের জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করতে উপকূলীয় সব জেলার পুলিশ ইউনিটগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছিল পুলিশ সদর দফতর। মাঠ পর্যায়ের ইউনিটগুলো সেই নির্দেশনা মোতাবেক সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বহুমুখী কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের জেলা ও থানা পর্যায়ের ইউনিটগুলোতে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছিল- যার কার্যক্রম এখনও চলমান। কন্ট্রোলরুম থেকে সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নজরদারি করে মাঠে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত সাড়ার জন্য প্রতিটি পুলিশ লাইন্সে প্রয়োজনীয় সংখ্যক রিজার্ভ ফোর্স QRT (Quick Response Team) হিসেবে রাখা হয়েছিল।
এছাড়াও যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ সদর দফতরের কন্ট্রোলরুমে ০১৭৬৯৬৯০০৩৩, ০১৭৬৯৬৯০০৩৪ নম্বরে এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
পিএম/এএ