রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে আদিতমারী থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আটক শিক্ষক সৈয়দ আলী মুন্সি উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন মাঝের চর গ্রামের মৃত নছিমুদ্দিনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার গুড়াতি পাড়া জামে মসজিদের মক্তবে প্রতিদিন সকালে শিশুদের আরবি শিক্ষা দেওয়া হয়। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে সেখানে ওই পাড়ার এক শিশু শিক্ষার্থী (৮) পড়তে গেলে কেউ না থাকার সুযোগে শিক্ষক সৈয়দ আলী মুন্সি ছাত্রীর হাতে ১০ টাকা দিয়ে জোরপুর্বক বিবস্ত্র করে যৌনহয়রানী করে। এ সময় পড়তে আসা অপর দুই শিক্ষার্থী বিষয়টি দেখতে ফেললে বিষয়টি প্রকাশ না করতে তাদেরকেও হুমকী দেন সৈয়দ আলী।
পরে ওই দুই সহপাঠিসহ বাড়ি ফিরে তাদের পরিবারকে বিষয়টি খুলে বললে এলাকায় জানাজানি হয়। সন্ধ্যায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষক সৈয়দ আলীকে আটক করে গ্রামপুলিশের মাধ্যমে থানায় সোপর্দ করেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে শিক্ষক সৈয়দ আলী মুন্সির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর মামলা দায়ের করেন।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছাত্রীর বাবার দায়ের করা অভিযোগে অভিযুক্ত সৈয়দ আলী মুন্সিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এমইউএম/ওএফবি