রোববার (১০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় কন্ট্রোল রুমে বসে জেলা প্রশাসক(ডিসি) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বরগুনায় আঘাত হানবে শুনেই বরগুনা জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত ছিলো।
তিনি বলেন, বৃষ্টিতে কৃষির ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে আমন ৯ হাজার ৮৬৩ হেক্টর, শীতকালীন শাকসবজি ৫শ’ ৫০ হেক্টর, গবাদি পশু নিহত ৩টি, আহত ৪১টি, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ৫ হাজার ২শ’ ৩৫টি, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৮৬টি, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ৩৮.৫ কিলোমিটার। মৎস্য বিভাগের সূত্র অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর ৬০টি, মৎস্য ঘের ৬৫টি, চিংড়ি ঘের ৩৫টি।
তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ২৯৪ মেট্রিক টন চাল, ৭ লাখ টাকা, ৩৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০টি কম্বল বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ করেছি। পূর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসিত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৮ ঘন্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এমএইচএম