কৃষির প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক রোববার (১০ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সার্বিক পরিস্থিতি ব্রিফ করবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন।
কৃষির ক্ষতি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোববার (১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, উপকূলের ১৩টি জেলায় শুধু পটুয়াখালী জেলায় কিছু আমন ধান আছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে দুই লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর রোপা-আমনের ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও ৩০ হাজার হেক্টর খেসারি ডালের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধান, পানের বরজ, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষাসহ রবি মৌসুমের বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যে সারাদেশে ৬৯ লাখ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এরমধ্যে ঝড়ে আক্রান্ত উপকূলের ১৬ জেলায় ১৬ লাখ ৭১ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে।
আক্রান্ত দুই লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর জমির ১০ শতাংশ ফসল নষ্ট হতে পারে বলে ধারণা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মনিটরিং ও বাস্তবায়ন শাহ মো. আকরামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, উপকূলের ১৩ জেলায় মোট ফসলী জমির পরিমাণ ১২ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৩ হেক্টর। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে দুই লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে।
এসব জেলায় আক্রান্ত ফসলি জমিতে রোপা আমন, কলা, পেঁপে, পানের বরজ, সরিষা, খেসারী ডাল, চিনা বাদামের ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে। তবে ফসলের ক্ষেতগুলো পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
ক্ষয়-ক্ষতির পুরো চিত্র পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এমআইএইচ/এমইউএম/ওএফবি