স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় মধ্যে পড়েছে এ ক্ষতিগ্রসস্ত পরিবারগুলো।
সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র কারণে লালমোহন ও চরফ্যাশনের ছয়টি ইউনিয়ন লণ্ড-ভণ্ড হয়ে গেছে। এ দুই উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ, গজারিয়া, হাজারিগঞ্জ, ওসমানগঞ্জ, নজরুল নগর, এওয়াজপুর ও কলমি এলাকার শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ট্রলারডুবিতে নিহত হয়েছেন একজন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন চারজন। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা।
এদিকে, বাড়ি-ঘরের পাশাপাশি ঝড়ের তাণ্ডবে বহু গাছপালা উপড়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বিনষ্ট হয়েছে ৫৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। এতে বসত-ভিটা আর আয়ের উৎস হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। নতুন করে ঘর তুলতে না পারায় অনেকেই খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। বিদুৎতের খুঁটি পড়ে গিয়ে বহু এলাকা এখনো রয়েছে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়।
ঝড়ের পর থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। কীভাবে নতুন করে ঘর তুলবেন সে চিন্তায় দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসান রুমি বাংলানিউজকে বলেন, ঝড়ে উপজেলার দু’টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তাদের চাল, নগদ টাকা ও টিন বিতরণ করা হবে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ১০০ পরিবারের তালিকা তৈরি করেছি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ২০ কেজি করে চাল এবং শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। এছাড়াও ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন।
ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাসুদ আলম ছিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের চূড়ান্ত তালিকা এখনো করা হয়নি। তালিকা তৈরির কাজ চলছে। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। সবাইকে তা বিতরণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এসআরএস