ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পর্যটক ফেরাতে সেন্টমার্টিনের পথে ৩ জাহাজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
পর্যটক ফেরাতে সেন্টমার্টিনের পথে ৩ জাহাজ পর্যটকদের আনতে সেন্টমার্টিনের পথে জাহাজ।

কক্সবাজার: বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকাপড়া প্রায় এক হাজার দুইশো পর্যটককে ফিরিয়ে আনতে সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।

বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় এবং সাগরে সংকেত প্রত্যাহার হওয়ায় জেলা প্রশাসন ওই পর্যটকদের ফেরানোর উদ্যোগ নেয়। আশা করা যাচ্ছে যে, বিকেলের মধ্যে এসব পর্যটকেরা টেকনাফে পৌঁছাবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) তিনটি পর্যটকবাহী তিনটি জাহাজে করে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যান অন্তত তিনহাজার পর্যটক। ভ্রমণ শেষে একইদিন প্রায় ১৮শ পর্যটক টেকনাফ ফিরলেও প্রায় ১২শ পর্যটক রাত্রিযাপনের জন্য দ্বীপে থেকে যান। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে পরদিন শুক্রবার হঠাৎ করে আবহাওয়া বৈরী এবং সাগরে চার নম্বর সর্তক সংকেত জারি করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যেকারণে সেখানে আটকা পড়েন এসব পর্যটকেরা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামাল বলেন, ইতোমধ্যে জাহাজগুলো সেন্টমার্টিনের পথে। দুপুরে জাহাজগুলো দ্বীপে পৌঁছাবে। আমরা আশা করছি, বিকেলের মধ্যে আটকাপড়া পর্যটকেরা সেসব জাহাজে করে টেকনাফে পৌঁছাতে পারবেন।

তিনি বলেন, যেহেতু অনেকদিন হয়ে গেছে, তাই অনেক পর্যটকের অর্থসংকট হতে পারে। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে হোটেল-মোটেল রেস্টুরেন্টে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি দেখভাল করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে এসব পর্যটকদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হয়েছে। হোটেলে হোটেলে তাদের কাছে টেকনাফ ইউএনওসহ দায়িত্বশীলদের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। যাতে যেকোনো ধরনের সমস্যায় যোগাযোগ করতে পারেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পরিষদের সব সদস্য কাজ করছেন। আটকাপড়া পর্যটকেরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়েন, আমরা সেই চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, আটকেপড়া পর্যটকেরা সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনটি জাহাজে করে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া কেটে গেছে। বঙ্গোপসাগরে কোনো সংকেত নেই। কক্সবাজারের আকাশে এখন ঝলমলে রোদ। তাই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে কোনো বাধা নেই।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলানিউজকে জানান, দ্বীপের আটকাপড়া পর্যটকরা যাতে কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

আশা করছি, বিকেলের মধ্যে সবাই টেকনাফ ফিরতে পারবেন বলে যোগ করেন ইউএনও মোহাম্মাদ সাইফুল।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।