জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলায় ঝড়ের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫০টি ঘরবাড়ি। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৫০টি বাড়ি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় তিন হাজার বাড়ি ও ১০টি বিদ্যালয় ভবন।
উজিরপুর উপজেলায় গাছচাপায় এক নারী ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুরায় হামেদ ফকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এছাড়া পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় দুইজন আহত হয়েছেন।
ঝড়ের তাণ্ডবে ছয় হাজার হেক্টর রবিশস্য, দুই হাজার হেক্টর খেসারি ডাল ও চার হাজার হেক্টর সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ৫৫ হেক্টর চারণভূমি, ৪৩৫টি মাছের ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০ মিটার বেড়িবাঁধ ও ১২০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তারও বেহাল দশা। পাশাপাশি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নে গবাদিপশু মারা গেছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুর ১২টায় বরিশালসহ অন্য জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট ব্যবস্থাও ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করেছে।
সোমবার সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া কেটে আকাশ পরিষ্কার রয়েছে। স্থানীয়রা দৈনন্দিন কাজ শুরু করেছেন। সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল করছে। দুপুর ১২টার পর থেকে বিভিন্ন রুটের লঞ্চ চলাচলও স্বাভাবিকভাবে চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এমএস/কেএসডি