সোমবার (১১ নভেম্বর) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে সাগরদী বাজার জামে মসজিদের ভাড়া দেওয়া ‘ফজিলত স্টোর’ ও বিপরীত পাশের ‘মা জুয়েলার্স’-এ ওই চুরির ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সবুজ জানান, সোমবার ভোররাতের দিকে চোরদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সাটার ভেঙে ওই দুই দোকানে ঢোকে।
রাতের বেলা মোবাইল ডিউটিকালে এ ঘটনা চোখে পড়ায় পুলিশটিম নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এএসআই সবুজ। সে সময় চোরেরা পুলিশের ওপর হামলা করে ট্রাক নিয়ে শহরের দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় এক পুলিশ আহত হন।
সবুজ বলেন, পুলিশ মাহিন্দ্রযোগে ধাওয়া দিলেও ট্রাক নিয়ে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায় চোরেরা। কিছু সময় পর আবারও ট্রাকটি ফিরে আসে। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুনরায় দ্রুতগতিতে দপদপিয়া সেতুর দিকে পালিয়ে যায় তারা। পরে দোকান মালিকদের ডেকে আনা হলে তারা দোকানে চুরির ঘটনা নিশ্চিত করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, চোরদের আটকের চেষ্টাকালে আহত পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমরা ওই চক্রকে শনাক্তের চেষ্টা করছি। চুরির ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। কিন্তু এ ঘটনায় মামলা হবে।
মা জুয়েলার্সের সত্ত্বাধিকারী সুদেব কর্মকার বলেন, পুলিশ না এসে পড়লে আমার সব সম্পত্তি নিয়ে যেত। সিন্দুকটি নিতে পারে নাই বিধায় খুব বেশি মালামাল যায়নি। ডিসপ্লেতে রাখা চার ভরির মতো স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে চোরেরা।
ফজিলত স্টোর্সের সত্ত্বাধিকারী শাহে আলম বলেন, আমারতো ফ্লেক্সিলোডের দোকান। রাতে খুব বেশি টাকা ক্যাশে ছিল না। ঝড়ের রাত বিধায় হাজার পঁচিশেক ছিল। সেটাই নিয়ে গেছে।
রোববার রাতে ঝড়ের ফলে শহর বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্কহীন ছিল। চোরেরা সেই সুযোগই নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এমএস/এইচজে