এছাড়া ঝড়ের সময় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ আশ্রয়কেন্দ্রে এবং বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠেখালি আশ্রয় কেন্দ্রে দু’টি শিশু জন্মগ্রহণ করেছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন>> ‘বুলবুল’র তাণ্ডবে আট জেলায় ১২ জনের মৃত্যু
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে দেশের খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের ১০টি জেলার ১৭টি উপজেলায় মোট ৪৮ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল পর্যন্ত এসব এলাকার হাসপাতালগুলোতে গুরুতর অবস্থায় মোট ২৩ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ফিরে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে এ পর্যন্ত (সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা) ১২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুইজন শনিবার (০৯ নভেম্বর) এবং বাকি ১০ জন রোববার (১০ নভেম্বর) মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের পরিচয় হলো- বরিশালের উজিরপুরের আশা লতা মজুমদার (৬৫), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের হামিদ কাজী (৬৫), পিরোজপুরের নাজিরপুরের মনি মণ্ডল (৫৫), খুলনার দীঘলিয়ার আলমগীর (৪০), দাকোপের প্রমিলা মণ্ডল (৫২), বাগেরহাটের ফকিরহাটে হীরা বেগম (২৫), রামপালের সামিয়া (১৫), শরীয়তপুরের নরিয়ার আলীবক্স (৭০), ডামুড্ডার আলেয়া বেগম (৫০), গোপালগঞ্জ সদরের মতি বেগম (৬৫) ও কোটালীপাড়ার হাওলাদার (৭০) গাছচাপা পড়ে এবং বরগুনা সদরের হালিমা খাতুন (৭০) আশ্রয়কেন্দ্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সময়ে দুর্যোগপ্রবণ ১০টি জেলার ১০৮টি উপজেলায় এক হাজার ৬৩ ইউনিয়নে এক হাজার ৪৮৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করে। আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ৫৮৭টি। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৩ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন। মেডিক্যাল টিমগুলো মেডিক্যাল অফিসার, সহকারী সার্জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিডওয়াইফ উপ-সহকারী, কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, স্বাস্থ্য সহকারী সিএইচসিপি ও অন্যান্য কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র দিন জন্মগ্রহণ করা শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ঝড়ের নাম অনুসারে ‘বুলবুলি’। মা ও শিশু দুটি স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে সুস্থ আছে বলে জানা যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এমএএম/জেডএস