তিনি বলেন, চিনিকল আমাদের লোকসানি প্রতিষ্ঠান। তারপরেও যেসব চিনিকল নতুন করে চালু করা হচ্ছে সেখানে ছাঁটাই করা শ্রমিকদের স্থানান্তরিত করা হচ্ছে, যেন চাকরিচ্যুত না হয়।
সোমবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কথা যেটা বলা হয়েছে, আমরা সরকরি আইন অনুযায়ী বেতন ভাতাদি পূরণের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের চিনিকল যেগুলো চালু আছে বা বিভিন্ন সময়ে চালু হচ্ছে সেখানে তাদের স্থানান্তরিত করে যাতে চাকরিচ্যুতি না হয় সেই ব্যবস্থা করছি।
‘চিনিকল যেগুলো বন্ধ আছে, সেগুলোকে চালু করে ছাঁটাই করা শ্রমিকদের সেখানে ব্যবস্থা করেছি ইতোমধ্যেই। এই চিনিকলগুলো অনেক পুরনো হয়ে গেছে, আমরা লোকসান বহন করছি, তারপরেও বিশ্বাস করি শ্রমিকদের সব ধরনের পাওনাই পরিশোধ করবো। ’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের আরেক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে শিল্পামন্ত্রী বলেন, চিনিকলগুলো ব্রিটিশ আমলে করা হয়। স্বাধীনতার পর আমাদরে ওপর দায়িত্ব পড়ে। আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে কলকারখানাগুলো নষ্ট করেছি। কিছুটা বিক্রি করে দিয়েছি, কিছু লুটপাট করেছি যার জন্য এগুলো লাভজনক হয়নি।
‘আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নতুন করে যাত্রা শুরু করেছি। বিভিন্ন পর্যায় থেকে বিনিয়োগ আসছে। আমরা বিশ্বাস করি অলাভজনক হবে না। চিনিকলের ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পাওনা আমরা পরিশোধ করবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এসকে/এসই/এএ