সোমবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে সংসদ নেতা শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্পিকারের কাছে হারুন এ অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত দেশে এক-দেড়কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কেনা হয় না।
‘সংসদ সদস্যরা রিকশায় চড়ে গণভবনে যাবেন না, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তো রিকশায় করে যাবেন না। সচিবালয়ে রিকশায় চড়ে যাবে না। আমি সংসদ নেতাকে অনুরোধ করবো এমপিদের গাড়ি কেনার যে সুযোগ দিয়েছেন তা কেনার জন্য ব্যাংকের স্বল্পসুদে ঋণ সহায়তা দেন। পাঁচবছর গাড়ি ব্যবহার করার পর বিক্রি করলে অন্তত মূলধনটা সে ফিরে পাবে। ’
‘আমদানি করা গাড়ি যদি সত্যিই হস্তান্তর করি তাহলে পরিপত্র মোতাবেক সমুদয় শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু এখানে জরিমানা বা জেলের কোনো সুযোগ নেই। আমি আশা করছি উচ্চ আদালত আমার এ বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নিয়ে আসবে। ’
হারুন বলেন, আমার ব্যাংকে কোটি টাকা নেই। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিয়ে কিনতে পারি। আমি অবৈধভাবে কারও কাছ থেকে টাকা নিয়ে কিনতে পারি। আমি সেই জায়গায় যাবো না। আমি আপনার সহযোগিতা চাই।
‘এক-এগারোর সময় আমার নামে একটি মামলা হয়েছিল। সেই সময় রাজনীতিবিদদের নামে বহু মামলা দিয়ে আটক করেছিল। আমার নামে সে ধরনের অভিযোগ না থাকায় শুল্কমুক্ত গাড়ির বিষয়ে একটি মামলা হয়। মামলাটি উচ্চ আদালতে স্থগিত ছিল। এখানে সংসদ নেতা উপস্থিত রয়েছেন। আমি ওনাকে (সংসদ নেতা) আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উনি একটি অসাধারণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। ’
তিনি বলেন, দেশব্যাপী দুর্নীতি অভিযান শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ঠিক ওই সময়েই আদালত থেকে আমার সাজা হলো। এত ব্যাপকভাবে প্রচার করা হলো, সারাদেশের মানুষের মধ্যে পারসেপশন তৈরি হলো বিএনপির এমপি বলেই হারুনের সাজা হয়েছে। উচ্চ আদালত ও সুপ্রিমকোর্টে আমার জামিন মঞ্জুর রাখা হয়।
‘১৯৮৮ সাল থেকে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চম সংসদে ৩০১টি, সপ্তম সংসদে ১৭৬টি, অষ্টম সংসদে ৩১১, নবম সংসদে ৩১৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়। আমরা টাকা দিয়ে গাড়িটি আমদানি করি। ৯৬ সালে এমপি হওয়ার আগে আমার ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল না। এমপিদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য সংসদ এই সুযোগটি দিয়েছেন। এটি নিয়ে মিডিয়ায় ঢালাওভাবে লেখালেখি হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এসকে/এসই/এএ