সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসিনের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দেন মুসা। মুসা নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বড়নাইল এলাকার মিরুজ্জামানের ছেলে।
আদালতে মুসার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন। তিনি জানান, চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের চারটি প্লট নিয়ে লিটন মিয়ার সঙ্গে তার শ্বশুর সামসু হকের বিরোধ দেখা দেয়। ডেমরা এলাকার কাইল্লা সিরাজ হত্যা মামলায় লিটনকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে লিটন তার চারটি প্লট শ্বশুরের কাছে ফেরত চান। ছাড়া পাওয়ার পর লিটন ডকইয়ার্ডে রং মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন। লিটনের সঙ্গে কাজ করতেন মুসা। শ্বশুর সামসুল হক অর্থের বিনিময়ে মুসাসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের দিয়ে লিটনকে হত্যা করায়।
মুসার বরাত দিয়ে এসআই আরো জানান, পেটে ছুরিকাঘাত করে ও গলায় শ্বাসরোধে হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে লিটনের মরদেহ পুঁতে রাখা হয়। এ ঘটনায় মুসাসহ আরো পাঁচ জনকে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত সাত মাস আগে লিটন মিয়া নিখোঁজ হলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন লিটনের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার মুন্নি। পরে পুলিশ চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকার সামসুল হকের ছেলে শাকিল আহাম্মেদ, আফসার উদ্দিনের ছেলে অপু, মৃত নায়েব আলীর ছেলে আব্দুর রহমান, মৃত জাফর আলীর ছেলে আলাউদ্দিন, আড়াইহাজার উপজেলার বালিয়াপাড়া এলাকার মৃত মরলির ছেলে মিলন ও নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বড়নাইল এলাকার মিরুজ্জামানের ছেলে মুসাকে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত ৯ নভেম্বর চনপাড়া এলাকা থেকে পুঁতে রাখা লিটনের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। লিটন মিয়া প্রায় এক যুগ আগে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের সামসুল হকের মেয়ে রোকেয়া আক্তার মুন্নিকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
জেডএস