সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হয়ে অভিযান শেষ হয় রাত ১১টায়।
আটকরা হলেন- আজিজিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সির মালিক আতিকুর রহমান ও ইউকসেল প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি দীন ইসলাম জমাদার।
আজিজিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি থেকে থেকে জব্দ করা হয় এক হাজার জাল পাসপোর্ট। এর মধ্যে কক্সবাজারের রয়েছে ১৮০টি পাসপোর্ট ও নগদ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে, ইউকসেল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে জব্দ করা হয় ৩০টি পাসপোর্ট, একটি সিপিও ও নগদ ৫০ হাজার টাকা।
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বাংলানিউজকে বলেন, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ইস্যু করে ও জন্ম নিবন্ধন অবৈধ প্রক্রিয়া দিয়ে পাসপোর্ট ইস্যু করে। আমাদের কাছে তিনটি ট্রাভেল এজেন্সির নাম এসেছে। আজিজিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি ও ইউকসেল প্রাইভেট লিমিটেড এদের পাসপোর্ট ইস্যু করে। এরা রোহিঙ্গাদের ও দাগি আসামি বা ফেরারি আসামিদের পাসপোর্ট করে দিয়ে থাকে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ১১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়। এরমধ্যে চারজন জন্ম নিবন্ধনের কাজ করে থাকেন। এরা ন্যাশনাল সার্ভারের জন্ম নিবন্ধনের ফরম ফিলাপ করতে পারেন। দালালদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এই দুটি ট্রাভেল এজেন্সির নাম এসেছে।
তিনি বলেন, অভিযানে এক হাজারের বেশি পাসপোর্ট জব্দ কর হয়েছে। পাসপোর্টগুলোর জন্ম নিবন্ধনের কোড নম্বর বোঝায় কক্সবাজার, চিটাগাং অথবা কুমিল্লার। এতে বেশ গড়মিল রয়েছে। পাসপোর্টগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। যেসব পাসপোর্টগুলো অবৈধভাবে করা হয়েছে ও জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছে সেগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, আজিজিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সির মালিকের অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকে ৪ লাখ ২৭ হাজার ডলার, সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে ৬০ হাজার ডলার এবং ইসলামী ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি। অভিযানের বিষয় আঁচ করতে পেরে তিনি একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭০ লাখ টাকা ট্রান্সফার করেন। সবমিলিয়ে যে অর্থে রয়েছে তা স্বাভাবিক মনে হয়নি। বিষয়টি দুদককে জানানো হবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এরা দুইজনই ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এমএমআই/এনটি