সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খাজামদ্দিনের স্ত্রী সাহেরা বেগম সামান্য জখম হলেও তার কাজের লোক মমতাজ উদ্দীন গুরুতর জখম হয়ে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মৃত খাজামদ্দিনের ছেলের বউ রেহেনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, রাত ৯টার দিকে খাজামদ্দিন টিভি দেখছিলেন। তখন বাড়ির প্রধান দরজা খুলে দিলে খাজামদ্দিনের ছোট ভাই সাদ্দাম ভেতরে আসেন। অসুস্থ বড় ভাইকে দেখতে এসেছেন বলে তিনি তার ভাইয়ের ঘরে ঢোকেন। এর কিছুক্ষণ পরেই চিৎকার শুরু হয়।
এ সময় রেহেনা বেগম বাইরে এসে দেখেন সাদ্দামের হাতে একটি বড় ছুরি ও কাজের লোক মমতাজ উদ্দীন জখম অবস্থায় আঙ্গিনায় ছটফট করছেন। পরে রেহেনা বেগম শশুরের ঘরে গিয়ে দেখেন তিনি রক্তাত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন।
এদিকে, ঘাতক সাদ্দাম হোসেন রক্তমাখা একটি ছুরি হাতে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুস সালামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাজামদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মোতাবেক সৎ এই দুই ভাইয়ের মধ্যে কোনো সম্পর্কের অবনতি ছিল না। এছাড়াও জমি সংক্রান্ত কোনো বিরোধও ছিল না। তবে কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটলো তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এ ঘটনায় ঘাতক ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এনটি