মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান কৃষিমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার রোপা আমন, শীতকালীন সবজি, সরিষা, খেসারি ও পানের বরজের জমি আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্ত জমিতে দুই লাখ ৮৯ হাজার ৬ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে মোট ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ২২ হাজার ৮৩৬ হেক্টর, যা মোট আক্রান্ত জমির ৮ শতাংশ বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের পরিমাণ ৭২ হাজার ২১২ মেট্রিকটন, আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২৬৩ কোটি ৫ লাখ টাকা।
ঘূর্ণিঝড়ে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গত বোরো ও আমনে অতিরিক্ত উৎপাদন হয়েছিল। এবার আমন মাঠে যে ফসল আছে, ধান কাটা কেবল শুরু হয়েছে। আমার আশা করছি খুব ভালো ফলন হবে। এ ক্ষতির জন্য আমার মনে হয় না, দেড় কোটি টনের এটুকু ক্ষতিতে প্রভাব ফেলবে না। এছাড়া এবার ধানে চিটা কম হবে।
ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ প্রাপ্তির পর দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
কী পরিমাণ এবং কবে নাগাদ আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরিষা পুনর্বাসন করা যাবে, বিএডিসির কাছে বীজ আছে, সরিষা বা খেসারি তারা আবার করতে পারবে। দক্ষিণাঞ্চলে শীতকালীন সবজিও খুব কম হয়। হিসাব করার পর জানানো যাবে কত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড়ে যেমনটা মনে করা হয়েছিল তেমনটা হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ক্ষয়ক্ষতি আরো বেশি হতে পারতো, কৃষিতে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য তৎপর রয়েছি।
আক্রান্ত ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬ হেক্টর জমির মধ্যে রোপা আমন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭৮ হেক্টর, সরিষা এক হাজার ৪৭৬ হেক্টর, শীতকালীন সবজি ১৬ হাজার ৮৮৪ হেক্টর, খেসারি ৩১ হাজার ৮৮ হেক্টর, মসুর ১৯৫ হেক্টর, পান ২ হাজার ৬৬৩ হেক্টর এবং অন্যান্য ৩ হাজার ১২৬ হেক্টর জমি রয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, আনুমানিক ৪৭ কোটি টাকা রোপা আমনে এবং ৭৯ কোটি টাকা সবজিতে ক্ষতি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯/আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস