মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে খুলনার বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াস) সঙ্গে বনবিভাগের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মঈন উদ্দিন খান বলেন, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন ও বন বিভাগের যৌথ মত বিনিময় সভায় সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশের সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম জমাদ্দার (আহ্বায়ক), সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান ডেবিট, হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনালের মালিক ফারুক হোসেন, সংগঠনের নেতা কাজী মনজুর-উল-আলম, শাহেদী ইসলাম রকি, মাজাহারুল ইসলাম কোচি, শাহেদ ইমরান, রাজিব হোসেনসহ বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
ঘূর্ণিঝড়ে বন বিভাগের কিছু ক্যাম্প, কাঠের পন্টুন, জেটি, ওয়াকওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে সোমবার (১১ নভেম্বর) বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ আপাতত বন্ধ ঘোষণা করে বন বিভাগ। কিন্তু এখন সুন্দরবনের পর্যটন মৌসুম হওয়ায় বনে প্রবেশ বন্ধ থাকলে ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং দেশও রাজস্ব হারাবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সেই দাবির কারণে বনবিভাগ সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশের সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
এছাড়া বনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সোমবার থেকে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগের ৬৩টি ক্যাম্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এমআরএম/জেডএস