তিনি উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের উলুকান্দি পশ্চিম তালুকদার বাড়ির ফটিক মিয়ার ছেলে।
উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রজব আলী জানান, একই এলাকার ৪ বন্ধু মিলে সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন থেকে উদয়ন এক্সপ্রেসে করে কক্সবাজারে বেড়ানোর উদ্দেশে রওনা হন রুবেল।
নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই ফুল মিয়া বলেন, স্থানীয় শানখলা মাদ্রাসার দাখিল পড়ুয়া ছাত্র ছিলেন রুবেল। ৪ বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হলে তাকে।
তিনি আরও জানান, মরদেহ ইতোমধ্যে বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। শোকে কাতর রুবেলের মা বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। পুত্রবিয়োগের শোকে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দুপুর ১২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার মরদেহ দাফনের প্রক্রিয়া চলছিল।
একই দুর্ঘটনায় হবিগঞ্জের আরও পাঁচ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন ট্রেনটিতে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার একই পরিবারের আরও ৫ জন ছিলেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন, দুর্ঘটনায় হবিগঞ্জের কয়জন মারা গেছেন তা এখনও জানা যায়নি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তূর্ণা নিশীথা’র সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
আরএ