মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার বিশষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৮ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাত বছর করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় মনিরুজ্জামান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর রেজাউল করিম জানিয়েছেন, তিনটি ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে ৯ বছর কারাভোগ করতে হবে। পুরো মামলায় তিনি আইনি লড়াই করলেও রায়ের দিন উপস্থিত ছিলেন না।
তিনি আরও বলেন, আসামি গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণ করার তারিখ থেকে সাজার মেয়াদ গণনা শুরু হবে।
জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগে বলা হয়, মনিরুজ্জামান মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার জনৈক আব্দুস সামাদের ছেলে। কিন্তু তিনি চাকরির আবেদনপত্রের সঙ্গে আব্দুস সামাদ নামীয় মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র দাখিল করেন। একই বছর ২৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
কেআই/ওএইচ/