ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে অপহরণের পর স্বামীকে হত্যার হুমকি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে অপহরণের পর স্বামীকে হত্যার হুমকি আসামি শাহজাহান ও রিটন। ছবি: সংগৃহীত 

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে এক নারীর আপত্তিকর ছবি তুলে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে অপহরণের পর আবার ফিরিয়েও দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই নারীর বাদী হয়ে থানায় অপহরণ ও নির্যাতনের মামলা করায় তার স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে অপহরণকারীরা।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের মালামত গ্রামের ইস্পাহানী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যার ভুক্তভোগী ফাবিয়া ইসলাম আশা।

তিনি একই এলাকার জহিরুল ইসলাম রাজীবের স্ত্রী। এ ঘটনায় গত ২৩ মে স্থানীয় শাহজাহান, মামুন ও রিটনের নামে মামলা করেছেন আশা।

মামলার বাদী আশা জানান, তার সন্তানকে স্কুলে নিয়ে আসা-যাওয়ার পথে ইস্পাহানী বাজারের শাহজাহান, মামুন ও রিটন তার পিছু নিতো ও তাকে নিয়মিত উত্যক্ত করতো। ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কায় এ ব্যাপারে  তিনি বাসায় কিছু জানাননি। এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ রাত পৌনে ৯টায় তার একটি আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে এক জায়গায় ডাকে ওই তিনজন। পরে সেখানে যাওয়ার পর তারা তাকে অপহরণ করে।  

আশার স্বামী রাজীব জানায়, অপহরণকারীরা তার কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। আশাকে প্রধান অভিযুক্ত বিয়ে করেছেন বলেও দাবি করে তারা। বিয়ের একটি ভুয়া কাবিননামাও দেখায় তারা। পরে অভিযুক্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার বলা হলেও তারা না দিলে এক পর্যায়ে আশা পালিয়ে আসে। স্ত্রীকে অপহরণের পর রাজীবকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে জানান তিনি এবং পুলিশের কাছেও স্বীকার করেন।  

মামলার পর আদালত থেকে জামিনে বের হয় প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহান। তিনি এখন নতুন করে রাজীবকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি বিকৃত করে পাঠাচ্ছেন শাহজাহান। এনিয়েও থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রাজীব। মামলা প্রত্যাহারের জন্য পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলা, গুম করা, তুলে নিয়ে যাওয়াসহ নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে।  

ঘটনার পর রাজীবের পুরো পরিবার এখন জীবনাশঙ্কা ও অপহরণের ভয়ে রয়েছেন এবং এ নিয়ে দ্রুত প্রশাসনের সহযোগিতা ও পদক্ষেপ আশা করছেন তিনি। একই সঙ্গে মামলার সব আসামিকে গ্রেফতার করে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান তিনি।

বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এমআরপি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।