মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেবার উদ্বোধন করা হয়। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই সেবার উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে পলক বলেন, ‘তথ্য সেবা সবসময়’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রধামন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ৩৩৩ এর উদ্বোধন করেন। এই সেবার সঙ্গে আজ থেকে যুক্ত হলো ডিএনসিসি। মেয়র বারবার এজন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। তার স্পৃহাতেই সিটি কর্পোরেশনের সেবাগুলো ডিজিটাল হলো। এরইমধ্যে আমরা আমাদের ‘এক-সেবা’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরকারি প্রায় ১৬৪টি সেবা ডিজিটালভাবে দিচ্ছি। কেউ যদি নিরক্ষরও হয় তিনিও সেবা পাবেন ৩৩৩-এ। তিনি ফোন দিয়ে সেবা চাইলে সিটি করপোরেশন থেকে লোক তার কাছে গিয়ে সেবা দেবেন, ফরম পূরণ করে দেবেন। এই শহরের দেড় কোটি মানুষকে ডিজিটাল মাধ্যমে বিশ্বের আধুনিক সেবা দিতে চাই।
অন্যান্য হেল্পলাইনগুলোর সঙ্গে ৩৩৩-কে যুক্ত করা হবে বলেও জানান পলক। এলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে বলে জানান তিনি। এর মাধ্যমে অন্যান্য সংস্থাগুলোর সেবাও এক জায়গা থেকেই নাগরিকদের দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ প্রতিমন্ত্রীর।
এদিকে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আজ আপনাদের জন্য চ্যালেঞ্জের দিন। আগে কোনো সময় নাগরিকেরা আমাদের ফোন করতো না। এখন থেকে ফোন করতে পারবে, প্রশ্ন করতে পারবে; সেবা ও হয়রানি নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতার চ্যালেঞ্জ এটা। নাগরিকদের সেবা আমাদের দিতে হবে।
আতিক আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে ৫৪টি ওয়ার্ড থেকেই জন্মসনদ দেওয়ার। এরপর পরিকল্পনা আছে জন্মসনদ, ট্রেড লাইসেন্সের মতো দলিল ঘরে বসেই ডেলিভারি নিতে পারবেন নাগরিকেরা। এখন খাবার যেমন ঘরে বসেই অর্ডার করে পাওয়া যায়, তেমনি সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ধরনের সেবা ঘরে বসেই নাগরিকেরা পাবেন এমন উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস