মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনরত জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশটি করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
তখন নুর বলেন, রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। সব ঘটনাতেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা, তা প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন হলেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অথবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেনো সমাধান দিতে পারে না। তা নিয়ে ক্ষোভ জানান তিনি।
একইসঙ্গে যেকোনো আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের দায় তকমা লাগিয়ে দেওয়ারও নিন্দা জানান নুর। তিনি বলেন, আন্দোলনগুলোতে সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই বলে দেয় এগুলো যৌক্তিক।
জাবি উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে ভিপি বলেন, নিজের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঠেকাতে আপনি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেছেন। আপনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তাদের দাবি শুনে ব্যবস্থা নিতে পারতেন। আপনার বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যই প্রমাণ করে আপনি ‘দুর্নীতিবাজ’।
ভিপি এও বলেন, প্রমাণ দেওয়ার দায়িত্ব আন্দোলনকারীদের না। এজন্য দেশে গোয়েন্দা সংস্থা আছে। দেশের গোয়েন্দা সংস্থা জনগণকে হয়রানি করার জন্য নয়।
দেশের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইউজিসিতে তদন্ত চলছে। এভাবে চললে কাউকেই উপাচার্য বানানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এ আন্দোলন শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পতনের আন্দোলন নয়। এটি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন। এই আন্দোলন ঠিকই ৯০ এর গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
কেএসডি/টিএ