শহীদরা হলেন- আমবাড়িয়া গ্রামের সুলতান শেখ, তার ছেলে মফিজ উদ্দিন শেখ, একই গ্রামের আব্দুর রহমান, জুব্বার ফকির, দোবিলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শহীদ ইয়ার মাহমুদ, মেহের আলী, মোক্তার হোসেন, আব্দুর রহমান, আমিন উদ্দিন প্রামাণিক, ফজলার রহমান, কিয়ামত আলী প্রামাণিক, মজিবর রহমান, ওসমান আলী প্রামাণিক ও দেছের আলী প্রামাণিক।
মুক্তিযুদ্ধকালীন উত্তরাঞ্চলের বেসরকারি সাব-সেক্টর কমান্ড পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের পরিচালক ও সাবেক সংসদ সদস্য গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন বাংলানিউজকে বলেন, ৭১’র ১১ নভেম্বর তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হয় পাকবাহিনী।
তিনি বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ওই গণকবরটা বেঁধে দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে সংসদ সদস্য হওয়ার পর গণকবরের বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেছিলাম। এটি সংরক্ষণে একটি প্রকল্পও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত সেটি আলোর মুখ দেখেনি।
মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম বুলবুল বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর আমবাড়িয়ায় কর্মসূচি পালন করা হলেও ১৩ নভেম্বর কোনো কর্মসূচি পালিত হয় না। তবে এবার হাদিউল হৃদয় নামে এক স্থানীয় সাংবাদিক দিবসটি পালনে উদ্যোগ নিয়েছেন।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে আমবাড়িয়া গণহত্যা দিবস পালনের কোনো নির্দেশনা নেই। তবে স্থানীয়ভাবে কেউ উদ্যোগ নিলে সহযোগিতা করবে উপজেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এসআরএস