বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য সংযোগ ও যোগাযোগ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ অভিমত জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একমাত্র পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশের রফতানি বাড়ানো সম্ভব।
এরই সূত্র ধরে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মের্সি টেম্বন বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য সংযোগ এবং সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সাফল্য পেতে পারে। সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ করে তোলার মাধ্যমেই বাংলাদেশ রফতানি প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারবে এবং তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল উৎপাদক হিসেবে শীর্ষস্থান বজায় রাখতে পারবে। আর এর ফলে আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
‘যানজটের কারণে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার বাজারে বাংলাদেশ সাফল্য পেতে পারে। দক্ষ সরবরাহ ব্যবস্থা বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতা ও রফতানি বৃদ্ধিতে অন্যতম প্রধান চালিকা হয়ে উঠেছে। বিশ্ববাজারে অংশীদারিত্ব বাড়াতে গার্মেন্টস প টেক্সটাইল খাত বাংলাদেশকে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। বাংলাদেশের মোট রফতানির ৮৮ শতাংশই আসে এ খাত থেকে। এছাড়া রফতানি আয় বৃদ্ধির জন্য নতুন বাজার সৃষ্টি ও উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদন অত্যাবশক। দরকার বেসরকারি খাতের সঙ্গে জড়িত সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়, মূল অবকাঠামোগুলোর কার্যকর দক্ষতা বৃদ্ধি, ব্যয় হ্রাস ও মানের উন্নতি। ’
একই সূত্র ধরে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ মাতিয়াস হেরেরা দাপ্প বলেন, যোগাযোগ ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যথেষ্ট অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন করতে পারে। এতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে তাদের অবস্থান আরও জোরদার হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেবলমাত্র বিনিয়োগ বৃদ্ধি নয়, সেবা ব্যবস্থার ওপরও জোর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, ঢাকা প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের কার্যক্রমের কেন্দ্রস্থল হওয়ায় বাংলাদেশ একটি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এর ফলে পরিবহন ব্যয় বাড়ছে। এসব মাথায় রেখেই সম্প্রতি ভারতকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এমআইএস/এইচজে