তিনি মহাগরীর পবা নতুনপাড়া এলাকার গোলাম রসুলের ছেলে। একই ঘটনায় যুবরাজ (১৯) নামে এক বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে মহানগরীর শাহ মখদুম থানার পবা নতুনপাড়া এলাকায় তাদের ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় ফাহিমের মৃত্যু হয়। তিনি মহানগরীর বরেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিকেলে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পেছনে দুই তরুণ এবং দু’ তরুণী বসে গল্প করছিলেন। তখন এলাকার ছেলে ফাহিম ও তার দু’বন্ধু যুবরাজ এবং সৈকত গিয়ে তাদের বলে, এখানে বসে থাকা যাবে না। এ নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে বান্ধবীর সঙ্গে বসে থাকা দু’ তরুণীর একজন ছুরি বের করে ফাহিম ও যুবরাজকে আঘাত করেন।
এ সময় প্রাণভয়ে সৈকত পালিয়ে যায়। এরপর ফাহিম ও যুবরাজ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারী দু’ তরুণ তাদের বান্ধবীদের নিয়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় ফাহিম ও যুবরাজকে হাসপাতালে আনা হয়। ফাহিমের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত হয়েছিল। আর যুবরাজের বুকের ডান পাশে আঘাত আছে।
যুবরাজের দাবি, ছিনতাইকারীরা তাদের ছুরিকাঘাত করেছে।
যুবরাজের বরাত দিয়ে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস আরও জানান, বিকেলে তারা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনের পাশে বসেছিলেন। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী এসে তাদের কাছে যা আছে দিয়ে দিতে বলে। তারা আপত্তি করলে তারা তাদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায়।
আরএমপির মুখপাত্র বলেন, তারা ছিনতাইকারীর বিষয়টি জানি না। বান্ধবীদের নিয়ে বসে থাকা দু’তরুণ এই ঘটনা ঘটেছে বলেই জানতে পেরেছেন। তবে, তাদের শনাক্ত করা যায়নি। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এসএস/এএটি