ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বখাটে ওসমান গনি (২৫) পলাতক রয়েছেন। তিনি উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের পূর্ব দেবপুর গ্রামের মৃত আবু আহম্মদের ছেলে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে ওই ওরুণীর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে ছাগলনাইয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ওই যুবক প্রতিবেশী হওয়ার সুযোগে তরুণীর পূর্ব পরিচিত। গত বেশ কিছুদিন ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় শুরু করে। বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় সময় ওই তরুণীর বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। কথা বলার চেষ্টা করতো। গত রোববার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ওই যুবক ওসমান গনি তরুণীর বাড়িতে যায়। এসময় তার (তরুণী) মা বাড়িতে ছিলেন না। এ সুযোগে ওসমান গনি ওই তরুণীকে কথা আছে বলে বসতঘরের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। ওই তরুণী এতে রাজি না হলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এসময় ওসমানের নখের আঘাতে তরুণীর শরীর জখম হয়। একপর্যায়ে ওই তরুণীর মা বাড়িতে এলে ওসমান দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে তরুণীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনাটি বখাটে ওসমানের বাড়িতে জানানো হলো তারা আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং উল্টো মা ও মেয়েকে মারধরের চেষ্টা করে। মামলা করা হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওসমান গনির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এসএইচডি/জেডএস