বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা আড়াইটায় র্যাব-৯ সদর দপ্তরে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৯’র মেজর শওকাতুল মোনায়েম বলেন, ১২ দিন আগে গাজীপুর থেকে অপহৃত শিশুটিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নিশ্চিন্তপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর শিশুটিকে নিয়ে তার নানি শপিং করতে বের হন।
র্যাব’র ওই কর্মকর্তা জানান, কেনাকাটায় যাওয়ার পর দুই অপরিচিত যুবক ওই বালিকা ও তার নানিকে ফুসলিয়ে পাশের একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা করাতে নিয়ে যায়। নাস্তার সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে শিশুকে অপহরণ করে। চেতনা ফিরে ওই নারী তার নাতনি নেই, সঙ্গে মোবাইল ফোনও নেই দেখতে পান। এরপর অন্য একটি মোবাইল ফোন থেকে নিজের মোবাইলে ফোন দিলে অপহরণকারীরা তার নাতনিকে ফিরে পেতে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
গত ৭ নভেম্বর ওই নারী বাদী হয়ে গাজীপুরের বাসন থানায় একটি মামলা করেন। এরপর র্যাব’র সিনিয়র এএসপি সত্যজিৎ কুমার ঘোষের নেতৃত্বে নিশ্চিন্তপুর থেকে ওই বালিকাকে উদ্ধার করে র্যাব। এসময় তাহের আলী (২০) নামে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে নিশ্চিন্তপুরের মুজিবুর রহমানের ছেলে। এছাড়া উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে অপহৃত বালিকা তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এনইউ/জেডএস