ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিশুবান্ধব শহরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
শিশুবান্ধব শহরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে সভায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র (রাজউক) চেয়াম্যান ড. সুলতান আহমেদ।

ঢাকা: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়াম্যান ড. সুলতান আহমেদ বলেছেন, ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) হবে শিশু বান্ধব। শিশুদের মতামত নিয়ে শহরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর রাজউক ভবনে শিশুবান্ধব আদর্শ নগরীগড়ে তুলতে ও শিশুদের চাহিদা ও স্বপ্নের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে রাজউক ও সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় শিশুদের পক্ষ থেকে চারটি প্রস্তাব দেওয়া হয় রাজউক চেয়ারম্যানকে।

প্রস্তাবগুলো হলো- নিকটতম দূরত্বে স্কুল স্থাপন, পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও পার্ক তৈরি করা, নগরে সবুজ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং নিরাপদ আবাসিক এলাকা নিশ্চিত করা।

রাজউক চেয়ারম্যান সুলতান বলেন, শিশুদের কাছ থেকে যে প্রস্তাবগুলো আমরা পেয়েছি তার সবগুলো প্রস্তাবই আমরা প্রণয়নাধীন ড্যাপ-এ অন্তর্ভুক্ত করেছি। শিশুদের দায়িত্ব হলো তাদের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা।

তিনি বলেন, শিশুরা তাদের প্রস্তাবনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে খেলার মাঠের অভাবকে। তাই আমি রাজউকের সব প্রকল্পের খালি জমি গুলোকে কাউকে বরাদ্দ না দিয়ে সেগুলোকে বিনোদন বা অবকাশ যাপনের জন্য পার্ক কিংবা সবুজ চত্বর করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। শিশুদের মতামত নিয়ে শহরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটা গুরুত্বসহকারে প্রচারের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে অনুরোধ করেন রাজউক চেয়ারম্যান।

তিনি আরও বলেন, ড্যাপ বাস্তবায়ন শুধু রাজউকের একার কাজ নয়, এর সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অনেকগুলো সংস্থা জড়িত। পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে রাজধানী ঢাকা শহরের উন্নয়নে তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ড্যাপ প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমরা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত দেশের সেরা বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করেছি, দেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছি। সুতরাং ভবিষ্যতে তাদের প্রণয়ন করা ড্যাপ-এর মাধ্যমে আমরা একটি পরিকল্পিত ঢাকা শহর পাবো বলে আশা রাখি।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাস্টারপ্ল্যান করেছেন। নদীগুলোর দূষণ রোধ করতে  এবং নদীগুলোর পরিষ্কার পানি টলটলে ফিরিয়ে আনতে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে বলে তিনি জানান।
  
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি সালমা এ শফি, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সাবেক কম্প্রিহেনসিভ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (সিডিএমপি) এর প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল কাইয়ুম, সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ মতিউল আহসান, ড্যাপ এর প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউকের সদস্য পরিকল্পনা মো. আজহারুল ইসলাম খান এবং রাজউক ও সেভ দ্য চিলড্রেনের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এসই/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।