কোতোয়ালি পুলিশের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে এমন তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কালা মনির সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডটি ঘটান গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায়। এসময় নগরের অপরাধ এলাকা খ্যাত কাস্টঘরে ভবনের ওপর তাস খেলছিলেন তারা জন সাতেক মিলে।
এ ঘটনার পরদিন কালা মনিরসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা (নং-১৯(১১)১৯) দায়ের করেন সেলিমের বাবা ইসমাইল আলী।
লক্ষ্মীপুর সদরের বাসিন্দা ইসমাইল আলী স্বপরিবারে ভাড়া থাকেন নগরের কানিশাইল হাজি আব্দুস সালামের কলোনীতে।
ইসমাইল আলীর দায়ের করা এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে কাস্টঘর আস্তানা থেকে ধাওয়া দিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের ভয়ঙ্কর তথ্য দেন তিনি।
কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ইবায়দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, গত ৭ নভেম্বর নগরীর কাস্টঘর এলাকার একটি ভবনের ছাদে তারা সাত থেকে আটজন জুয়ার আসরে বসেছিলেন। ১০০ টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেলিমকে ছুরিকাঘাত করেন মনির। গুরুতর অবস্থায় ভবনের ছাদ থেকে নেমে রাস্তায় পড়ে যান সেলিম। পরে টহলে থাকা পুলিশের সদস্যরা অজ্ঞাত হিসেবে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে।
তিনি বলেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কতোয়ালপুর গ্রামের শেখ খলিল মিয়ার ছেলে কালা মনির একজন পেশাদার খুনি। তার বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ থানায় চারটি হত্যা ও মারামারির ঘটনায় দু’টি মামলা রয়েছে। কোতোয়ালি থানায় এই হত্যা মামলাসহ তিন মামলা এবং দক্ষিণ সুরমায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও দুটি মামলার আসামি হয়েও পলাতক ছিলেন তিনি। তবে নিহত সেলিমের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সেলিমের বাবা ইসমাইল আলীর মামলায় মনির ওরফে কালা মনিরকে ৬নং আসামি করা হয়। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার বাদাঘাটের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া (২৯), নগরীর দাড়িয়াপাড়ার আব্দুর রউফের ছেলে সুমন ওরফে লালগুটি সুমন (২২), নগরীর ঘাসিটুলা বেতেরবাজার এলাকার আনোয়ার (২৮), বোরহান (৩০) ও রাজু (২৯)।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, নিহত যুবককে ডান পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মরদেহটি অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করেছিল। পরে সংবাদমাধ্যমে ছবি দেখে পরিবারের লোকজন মর্গে এসে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেন। এছাড়া মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪২ঘন্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এনইউ/টিএ