স্পিকার বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কেননা জনগণের পক্ষে সরকার সরকারি অর্থের ব্যবস্থাপনা ও ব্যয় করে থাকে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বাংলাদেশ আয়োজিত ‘প্রমোটিং একাউন্টেবেলিটি অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটি ইন গভর্নমেন্ট স্পেন্ডিং’ শীর্ষক সাউথ এশিয়া একাউন্টেবেলিটি রাউন্ডটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, সরকারি অর্থ ব্যয়ের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা ও সততা নিশ্চিতে জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত কমিটি (পিএ) এবং বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অফিস কাজ করছে।
জাতীয় সংসদের পিএ কমিটি সরকারের কার্যক্রম তদারকি করে এবং সরকারি ব্যয় সম্পর্কিত সিএজি প্রতিবেদন পরীক্ষা করে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়। এক্ষেত্রে পিএ কমিটির সুপারিশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পিএ কমিটি, সিএজি, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে সরকারি অর্থের অপচয়রোধ করা সম্ভব।
তিনি অর্থ ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ এবং সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতবিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্পিকার আরও বলেন, অর্থের অপব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন, রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থায় জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা ক্রমেই লোপ পায়। ফলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে যায়। এতে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে ও বাজেট ঘাটতি দেখা যায়। প্রতিটি সেক্টরে অর্থের অপচয়রোধ করলে দেশও আরও উজ্জ্বল অবস্থানে যাবে।
রাউন্ডটেবিল আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং ভারতের সিএজি ও ডিরেক্টর জেনারেল সুনীল শ্রীকৃষ্ণ।
বাংলাদেশ সময় ১৬১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এসকে/এএটি