এরই ধারাবাহিকতায় ৫০ বছর ধরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার পদ্মপুকুর নামকস্থানে হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী নবান্নের মেলা।
প্রতি ইংরেজি বছরের ১৭ নভেম্বরে হয় এ মেলা।
শ্রী অজিত কুমার পাল ৩০ বছর ধরে এ পদ্মপুকুর নবান্নের মেলাতে মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিক্রি করে আসছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার দাদু এ মেলাতে মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিক্রি করেছেন। এরপর আমার বাবা অমূল্য চরন পাল এরপর আমি এসব বিক্রি করছি। এখানে মাটির তৈরি হাঁড়ি, পাতিল, ঢাকনা, প্রদীপ দেওয়ার ছোট বাটি, ধূপ জ্বালানো ধূপতীসহ নানা রকম মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিক্রি করি আমরা।
মেলাতে বাশেঁর তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে আসা রেবেকা পাহানবাংলাঙ্ক বলেন, সারা বছর আমাদের খুব কষ্টে কাটে। নবান্নের এ সময়টা আমরা বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করি। মেলাতে আমরা বাঁশের তৈরি কুলা, ঢাকনা, ঝাল, ডালা খইচালা, চালুন, মাছ রাখা খলইসহ নানা জিনিস বিক্রি করি।
স্থানীয় আব্দুল সাত্তার জানান, বছরে একদিনের জন্য নবান্নের মেলা হয়। মেলাতে এই এলাকার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ আসেন। এখানে সারা বছরের সংসারের প্রয়োজনীয় নানা রকম জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তারা সারা বছর ব্যবহারের জন্য এগুলো কিনে নিয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
আরএ