রোববার (১৭ নভেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুইটি হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশেরও দুই সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত বাদশা ওই উপজেলার জোড়াপুকুর গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, জনযুদ্ধের আঞ্চলিক কমান্ডার বাদশাহ তার লোকজন নিয়ে মেহগনি বাগানে গোপন বৈঠক করছে, এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে টহল পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাদশা ও তার লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায় ৩০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।
‘এসময় বাদশা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ’
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের এসআই সোরোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল সোহেল আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাদশার নামে হরিণাকুন্ডু থানায় সাতটি হত্যা ও দুইটি অস্ত্র মামলা রয়েছে বলেও জানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এসএ/