ধানের মনকাড়া গন্ধে ম-ম করছে চারদিক। বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরাও।
কৃষক জালাল উদ্দিন শেখ বাংলানিউজকে জানান, তিনি প্রায় ১৩ বিঘা জমিতে কাটারিভোগ জাতের ধান চাষ করেছেন। এ মৌসুমে রোগবালাই কম হওয়ায় গাছগুলো যথেষ্ট ফসল দিয়েছে। পোকার আক্রমণ ও রোগবালাই রোধে প্রথম থেকেই কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে। আশানুরূপ ফসল পাওয়ায় বেশ খুশি তিনি।
জমসেদ, ইদ্রিস আলী, মজিবর, হায়দার আলীসহ একাধিক কৃষক জানান, চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিগত বছরের চেয়ে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ ছিল অনেক কম। আবহাওয়াও ছিল কৃষকের অনুকূলে। যথেষ্ট পানি ও রোদ পেয়েছে গাছগুলো।
তবে, ঘরে নতুন ফসল তোলার আনন্দ ছাপিয়ে উদ্বেগও দেখা যাচ্ছে কৃষকদের মধ্যে। গত মৌসুমের মতো এবারও ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে চিন্তিত তারা। বিগত কয়েক বছর থেকেই বাজারমূল্য ভালো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
তারা জানান, বর্তমানে প্রতিমণ শুকনো বিনা-৭ ব্রি ধান-৪৯, ৫৭, ৬২ ও ৩৪ বাজারদর অনুযায়ী ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় এবং নতুন কাটা ধান প্রতিমণ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে, যা বিগত বছরের তুলনায় খুব একটা বেশি নয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১ লাখ ৮২ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উফশী ১ লাখ ৭৯ হাজার হেক্টর, স্থানীয় ৩ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে। গত মাসে দু’দিনের বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির ফসল। তবে, বাম্পার ফলনে তা পুষিয়ে নেওয়া গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-সহকারী আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, চলতি মাসের শুরু থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের ধানকাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। এখন পুরোদমে চলতি মৌসুমের ধানকাটা চলছে।
তিনি বলেন, গড়ে প্রতিবিঘা জমি থেকে ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার ধান চাষিরা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
কেইউএ/কেএসডি