সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলের দিকে ফতুল্লার আকবরনগর এলাকায় সামাদ আলী ও রহিম হাজি গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী জানায়, আকবরনগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পৃথক দুটি বাহিনী তৈরি করে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী সামাদ আলী ও রহিম হাজী। এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে এর আগেও এ দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। সে সব সংঘর্ষে বাড়িঘরে আগুন দেয়াসহ হতাহতের ঘটনাও ঘটে। তাদের কারণে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটায়। সর্বশেষ গত বছরের ৯ আগস্ট দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেটাবিদ্ধ হয়ে জয়নাল নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। উভয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার প্রথমে স্থানীয় সামাদ আলীর লোকজন রহিম হাজিকে মারধর করে। এসময় রহিম হাজীর লোকজন খবর পেয়ে সামাদ আলীর বাড়ি ঘেরাও ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করে। এ ঘটনায় সামাদ আলীর স্ত্রী নাছিমা বেগম ও রহিম হাজিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিত শান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআরপি/এইচজে