সোমবার (১৮ নভেম্বর) নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলকুটিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কার্নিজ ওই গ্রামের কৃষক আবুল কালামের মেয়ে।
এদিকে এ ঘটনার পর পালিয়ে গেছে বখাটে কলেজ ছাত্র কাওছার আলী (১৮)। কাওছার একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। সে উপজেলার পুটিমারী বিএম কলেজের প্রথম বর্ষের ব্যাংকিং শাখার প্রথম বর্ষের ছাত্র।
কারিমা আক্তার কার্নিজের বাবা আবুল কালাম ও মা শিল্পী বেগম অভিযোগ করে জানায়, গ্রামের কাওছার আলী তাদের মেয়েকে বেশ কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। গত ১০ দিন আগে গ্রামে বিচার সালিশে কাওছার আর উৎপাত করবে না বলে ক্ষমা চায়। কিন্তু শনিবার (১৬ নভেম্বর) কারিমা আক্তার কার্নিজ জেএসসির শেষ পরীক্ষা দিয়ে ফিরে আসার সময় রাস্তায় পুনরায় উৎপাত করে কাওছার। মেয়ে বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানালে তারা কাওছারের পরিবারের কাছে অভিযোগ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাওছার ছুটে এসে কার্নিজের বাবাকে মারধরের হুমকি দেয়। ঘটনার দিন সকালে কার্নিজ বাড়ির বাইরের দরজায় দাঁড়ালে কাওছার ছুটে এসে তাকে বউ বউ বলে ডাকতে থাকে। এ অবস্থায় মেয়েটি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর রুমে কার্নিজকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান তারা।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মফিজুল হক জানান, আমরা উপজেলা হাসপাতাল হতে মেয়েটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলার মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোটের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এইচএডি/