ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও দুর্ভোগে যাত্রীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
খুলনায় পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও দুর্ভোগে যাত্রীরা টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছে সব বাস

খুলনা: নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন না করার প্রতিবাদে খুলনায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে চালকদের কর্মবিরতি। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে খুলনার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। এ সুযোগে মাহেন্দ্র, মিনি পিকআপ, মাইক্রোবাসসহ ছোট যানবাহনগুলোতে কয়েকগুণ ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।

আন্দোলনরত চালকরা বলছেন, নতুন আইনে দুর্ঘটনার জন্য চালকদেরই দায় নিতে হচ্ছে। পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। চালকরা কাউকে ইচ্ছা করে হত্যা করে না। তারপরও তাদের শাস্তি হবে। এ আইন মেনে নেওয়া যায় না। যার প্রতিবাদে এ কর্মবিরতি।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল ও রয়্যালের মোড়ে ধর্মঘটের প্রথম দিনের মতো বাসগুলো সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যাত্রীরা এসে বাস চলাচল সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। কিন্তু বাস চলাচল কখন শুরু হবে, কেউ তা বলতে পারছেন না।

মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি জানান, তার স্বজনরা ওমরা হজের জন্য ঢাকায় যাবেন। যে কারণে তিনি রয়্যালের মোড় বাস কাউন্টারে এসে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বাস ছাড়ছে না। কীভাবে যাবেন তা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত।

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের প্রতিবাদে শ্রমিকরা দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চালাচ্ছেন না। তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন। আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।

সোমবার রাতে কিছু গাড়ি খুলনা থেকে ছেড়েছে আবার খুলনায় ঢুকেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে বেবী বলেন, গতকাল ৯০ ভাগ বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। কিন্তু আজকে শতভাগ বাস চলাচল বন্ধ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনার এক পরিবহন মালিক বলেন, শ্রমিকদের এ ধর্মঘটের সঙ্গে আমরা শতভাগ একাত্মতা প্রকাশ করেছি। কেননা কোনো চালক ইচ্ছে করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। নতুন সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনা ঘটলে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। এত জরিমানা দেওয়ার মতো টাকা কোনো চালকের নেই। ৫-৭ দিন কাজ না থাকলে যে চালকদের ঘরে চুলা জ্বলে না, তাদের কাছে এত টাকা জরিমানা হাস্যকর।

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, চালকের দায়ে ট্রেন দুর্ঘটনা হলেও সেখানে সরকার এক লাখ টাকা মৃত ব্যক্তির পরিবারকে দেয়। আর পরিবহন দুর্ঘটনা হলে একজন চালককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ধরা হয়েছে। যা কোনোভাবে ঠিক নয়।

আর ধর্মঘটের বিষয়ে খুলনা সার্কিট হাউসে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।