সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক সেলিমের জিম্মায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ বিন হাসান।
স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ওই ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের স্বপ্না রাণী দাশের নামে বিধবা ভাতা ও একই গ্রামের প্রতিবন্ধী সমিরন দাসের নামে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের বিপরীতে ৪০ হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করে ফেলেন লিটন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুন নূর বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার কার্ড দুটি জব্দ করে আত্মসাৎকারী সাবেক ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লিটন ও তার লোকজন সমাজসেবা কার্যালয়ে এসে দুর্ব্যবহার শুরু করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানতে পেরে নিজ কার্যালয়ে লিটন ও প্রতারণার শিকার দুই ভাতাভোগীকে নিয়ে বৈঠকে বসেন ইউএনও তৌহিদ বিন হাসান। সেসময় চাপে পড়ে দুজনের আত্মৎসাৎ হওয়া ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেন লিটন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের জিম্মায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ইউএনও তৌহিদ বিন হাসান বাংলানিউজকে জানান, আত্মসাতের ব্যাপারটি প্রমাণিত হওয়ায় ৪০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন সাবেক ওই ইউপি সদস্য। পরে মুচলেকা রেখে উপজেলা চেয়ারম্যানের জিম্মায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এসআরএস