এ কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে বাজারে বাজারে অভিযানে নেমেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তাদের এ অভিযান চলছিল।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. শাহীনা আক্তার জানান, উপজেলার সবক’টি বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি লবণ ক্রেতাদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ বিন হাসান জানান, কোথাও কোথাও ১২০ টাকা কেজি দরে লবণ বিক্রি হয়েছে বলে খবর এসেছে। উপজেলা প্রশাসন অভিযানে নেমেছে। লবণ মজুদ অথবা অতিরিক্ত দামে বিক্রির প্রমাণ পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুনারুঘাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত ফাতিমা শশী বলেন, এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি। বিভিন্ন স্থানে মাইকিংও করা হয়েছে।
এদিকে মুজদের চেষ্টাকালে পিকআপ ও টমটম ভর্তি প্রায় ৫০০ কেজি লবণ জব্দ করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। তবে অভিযানকালে মজুদদাররা পালিয়ে যায়।
দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমী আক্তার জানান, উপজেলার সুতাং ও ড্রাইভার বাজারে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা শহরের শ্যামলী এলাকার ব্যবসায়ী সামছুল আলম বলেন, তার দোকানে প্রায় ৭০০ কেজি লবণ ছিল। গতরাত সন্ধ্যা থেকে ১১টা পর্যন্ত এগুলো ক্রয় করে নিয়েছেন খুচরা ক্রেতারা। তবে তিনি দাম বেশি রাখেননি বলেও জানিয়েছেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হঠাৎ লবণের দাম বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়ে হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে। রাত ১টার দিকে মজুদ করা ২০ বস্তা লবণ জব্দ ও ৪ ব্যবসায়ীকে আটক করে গোয়েন্দা সংস্থা। পরে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আধিদপ্তর তাদের জেল-জরিমানা করে।
এছাড়াও শহরে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদ। এসময় শহরের রাজনগর এলাকায় ১০৫ টাকা কেজি দামে লবণ বিক্রি করায় জালালাবাদ স্টোরের মালিককে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
আরএ