কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সবরুটে বাস বন্ধ করে দেন। এতে শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীসহ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
ঝালকাঠি থেকে বরিশাল, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে খুলনা, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে পিরোজপুর, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে ভাণ্ডারিয়া, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে মঠবাড়িয়া, বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে পাথরঘাটা, ঝালকাঠি-আমুয়া, বরিশাল-ঝালকাঠি ও ঝালকাঠি-ঢাকার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, সড়ক পরিবহন আইন শ্রমিকদের স্বাভাবিক জীবনের বিপরীতে। তাই আইন সংশোধনের দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। এর অংশ হিসেবেই সবরুটে শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
ঝালকাঠি বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, শ্রমিকরা নতুন আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তারা বেশি শিক্ষিত নয়, আইন সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞাত নয়। বাস বন্ধের সঙ্গে মালিক সমিতির কোনো যোগসাজস নেই। দেখা যাক, তারা কতোদিন এ আন্দোলন চালাতে পারেন। কারণ তাদের ভরণপোষণ তো হয় গাড়ি চলাচল থাকলে।
ঝালকাঠি-মোল্লারহাট (নলছিটি), ঝালকাঠি-নবগ্রাম এবং ঝালকাঠি-কাউখালী যাত্রী সংকটের কারণে দীর্ঘদিন (কয়েক বছর) বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এমএস/আরবি/