মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের সিধন গ্রামে শ্বশুরবাড়ির থেকে বিউটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিউটি ওই গ্রামের মামুন মিয়ার স্ত্রী এবং জেলা শহরের নুনিয়াগাড়ী গ্রামের আব্দুস ছামাদ মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে বিউটির সঙ্গে মামুনের বিয়ে হয়। তাদের নয় মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। দাম্পত্য কলহের জের ধরে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিউটির ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতে মনের ক্ষোভে ওইদিন বিউটি তার বাবার বাড়িতে চলে যান। সেখানে তার বাবা-মা বিউটিকে বুঝিয়ে তার কিছুক্ষণ পরই শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরদিন মঙ্গলবার ভোরে পুনরায় গৃহবধূ বিউটির সঙ্গে কথা কাটাকাটির হয় শ্বশুরবাড়ি লোকজনের। এরই জের ধরে স্বামীসহ ওই বাড়ির লোকজনের মারপিটে বিউটির মৃত্যু হয়।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকলেও জিজ্ঞাবাদের জন্য শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এসআরএস